সাতক্ষীরা কালিগঞ্জ প্রতিনিধি (শেখ রেজওয়ান) :
ক্রিশ্চিয়ান এইড এর অর্থায়নে,নওয়াবেঁকী গণমূখী ফাউন্ডেশন এর কারিগরি সহযোগিতায় মিশন মহিলা উন্নয়ন সংস্থা‘র বাস্তবায়নে আজ ২১ মে , ২০২৩ তারিখ সকাল ৯টায় সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদ হল রুমে বাঁধ রক্ষা কমিটির সদস্যদের সাথে একটি ওরিয়েন্টেশন সভার আয়োজন করা হয়।
নারী নেতৃত্বাধীন সিএসও দের অংশগ্রহণমুলক জলবায়ু পরিবর্তন ও অভিযোজন প্রকল্প, ফেজ-২ আওতায় বাঁধ রক্ষা কমিটির সদস্যদের সাথে ওরিয়েন্টেশন সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। বাঁধরক্ষা কমিটির কথা স্থানীয় শাসন ব্যবস্থার সবচয়ে কার্যকরী প্রতষ্ঠিান হচ্ছে ইউনয়িন পরষিদ। স্থানীয় র্পযায়ে সুশাসন ও উন্নয়নরে প্রধান র্শতই হচ্ছে অধকি ক্ষমতায়ন ও দায়ত্বিশীল ইউনয়িন পরষিদ। প্রতটি ইউনযি়ন পরষিদে ১জন চেয়ারম্যান ও ১২ জন সদস্য নিয়ে গঠিত হয়, যার মধ্যে ৯জন সাধারন আসনরে সদস্য ও ৩জন সংরক্ষতি মহলিা আসনরে সদস্য। স্থানীয় সরকারকে শক্তশিালী ও দায়ত্বিশীল করণরে মাধ্যমে যেমন দ্রূত স্থানীয় র্পযায়ে যাবতীয় সমস্যার সমাধান এবং সরকাররে উন্নয়নরে গতিকে তরান্বতি করে তেমনি জনসাধারণকে যদি উন্নয়নের ধারার সাথে সামিল করা যায় তবে ইউনিয়ন পরিষদের পাশা পাশি ভূক্তভোগী জনসাধারণ ও সুশীল সমাজ গতিশীল আচরণ করবে।
স্থানীয় ভূক্তভোগী জনসাধারণ ও সুশীল সমাজ যতবেশী সচেতন হবে – আমাদের উন্নয়ন যাত্রা ততবেশী উর্ধ্বমূখী হবে। PAR প্রকল্পের অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে লিঙ্গ সমতায়নকে প্রাধান্য দিয়ে দূর্যোগ ঝুকি হ্রাস কার্যক্রমে স্থানীয় লোকজনের অংশগ্রহণকে তরান্বিত করা, নারী নেতৃত্বয়ণকে উৎসাহ প্রদান করা। আমাদের দেশে স্থানীয় পর্যায়ে সক্ষমতা বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়নে প্রশিক্ষণ, অনুদান প্রদানে বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার গুরুত্ব ভুমিকা পালন করে থাকে। বাংলাদেশে স্থানীয় সরকার কাঠামোর সবচেয়ে নিম্মতর কাঠামো হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ। এই কাঠামোর আওতায় সরকার তার উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য বিভিন সংঘ/কমিটি তৈরী করে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচী, দুর্যোগে সহায়তা প্রদানসহ উন্নয়নশীল বিভিন্ন পরিকল্পনা প্রনয়ন করে। এই সকল উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে জেন্ডার সমতায়ন গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। সেজন্য সরকার বিভিন্ন সময়ে স্থায়ী আদেশ-নির্দেশ জারি করে থাকে।
পাশাপাশি স্থানীয় সরকার বিভিন্ন এনজিও কার্যক্রমের সহায়তায় বহুবিধ কর্মসূচী পরিচালনা করে।এমনই একটি উদ্যোগ হলো ইউনিয়ন বাঁধ রক্ষা কমিটি।আমরা যারা উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাস করি তাদের প্রধানতম ঝুঁকি হলো প্রতিবছর নদী ভাঙ্গন। যার ফলে জলাবদ্ধতা, জান ও মালের ব্যাপক ক্ষতি, ফসলহানি, লবনাক্ততা বৃদ্ধি, দেশীয় প্রজাতির মাছ, পশু সম্পদের ক্ষতি, স্থানান্তর বৃদ্ধি (এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার প্রবনতা) সর্বপরি পরিবেশিক বিপর্যয় বেড়ে যাচ্ছে। এই বিপর্য়কে নির্দ্দিষ্ট পরিকল্পনার মাধ্যমে সহনশীল মাত্রায় রাখা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আমাদের স্থানীয় জনসাধারণ যতবেশী দায়িত্ব গ্রহণ এবং উদ্যোগ গ্রহণ করবে ততবেশী চলমান উন্নয়নের সুফল আমরা ভোগ করতে পারব। তাছাড়া চলমান এ বিশাল উন্নয়ন কর্মকা- স্থানীয় সরকারের একার পক্ষে বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। মনে রাখতে হবে, ”যতবেশী দায়িত্ব গ্রহণ- ততবেশী উন্নয়ন”।
উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষ্ণনগর ইউপি চেয়ারম্যান সাফিয়া পারভীন।স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বাঁধ সংস্কার ও নদীর পাড়ে গাছ লাগানো ইত্যাদি বিষয়কে দৃষ্টি আকর্ষন করে ওরিয়েন্টেশন সভায় বক্তব্য রাখেন প্রকল্প সমন্বয়কারী শাহ ইলিয়াস, নুরুল হক, মিশন মহিলা উন্নয়ন সংস্থা‘র চেয়ারপার্সন ছকিনা পারভীন, ইউপি সদস্য জি. এম. জবেদ আলী, সাইফুর রহমান, মোঃ ইউছুফ আলী, মোঃ নূর হোসেন, মোঃ জামাল ফারুক, রুহুল কুদ্দুস গাজী, মোঃ আব্দুল গফফার, মোছাঃ রাশিদা খলিল ১,২,৩ আসনের মহিলা সদস্য, মোছা: সাজিদা খাতুন ৪,৫,৬ আসনের মহিলা সদস্য, নাদিরা পারভীন ৭,৮,৯ আসনের মহিলা সদস্য, মিশন মহিলা উন্নয়ন সংস্থা‘র প্রকল্প পরিচালক শেখ আব্দুল্লাহ গোবিন্দ ঘোষ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যবৃন্দরা।