অনলাইন ডেস্ক : কুষ্টিয়ায় নিহত সাংবাদিক হাসিবুর রহমান রুবেলের দাফন শেষে হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে সাংবাদিকরা বিক্ষোভ করে কুষ্টিয়া-খুলনা ও কুষ্টিয়া-ইশ্বরদী মহাসড়ক অবরোধ করে।
আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় কুষ্টিয়া কেন্দ্রীয় পৌর গোরস্থানে জানাজার নামাজ শেষে রুবেলের মরদেহ দাফন করা হয়। দোয়া শেষে সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহর প্রদক্ষিন শেষে মজমপুর গেটে অবস্থান নেয় জেলার সর্বস্তরের সাংবাদিকরা।
এসময় তারা সড়কে টায়ারে আগুন দিয়ে কুষ্টিয়া-খুলনা ও কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এক ঘন্টা দক্ষিণ বঙ্গ থেকে উত্তর বঙ্গের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকে। সেখানে জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শ্লোগান ও বক্তব্য দেন।
এসময় তারা রুবেলের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে আল্টিমেটাম দেন। যতক্ষণ হত্যাকারীরা গ্রেফতার না হচ্ছে ততক্ষণ লাগাতার কর্মসূচীর চালানোর ঘোষণা দেন।
অপরদিকে সাংবাদিক হাসিবুর রহমান ওরফে রুবেলের (৩১) লাশ উদ্ধারের ঘটনাকে হত্যাকাণ্ড উল্লেখ করে খুনিদের দ্রুত শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের জন্য প্রশাসনকে ৩৬ ঘণ্টা সময় দিয়েছেন সাংবাদিকেরা।
এ সময় কুষ্টিয়া সাংবাদিক ইউনিয়ন ও কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব কেপিসি’র সভাপতি রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের কোনো ঈদ নেই, কোনো আনন্দ নেই। হাসিবুর হত্যাকারীদের খুঁজে বের করা না হলে কুষ্টিয়া অচল করে দেওয়া হবে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুনীদের না ধরতে পারলে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’
এদিকে বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) বিকেলে ৪ টায় সাংবাদিক হাসিবুর রহমান রুবেল হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব কেপিসি।
বিক্ষোভ মিছিলটি কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব কেপিসি’র চত্বর থেকে বের হয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বঙ্গবন্ধু ম্যুরালের সামনে এ সমাবেশ করেন।
কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব কেপিসির সভাপতি রাশেদুল ইসলাম বিপ্লবের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা, সহ-সভাপতি মীর আল আরেফিন বাবু,ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি আফরোজা আক্তার ডিউ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তীতে এই প্রথম কুষ্টিয়ায় সাংবাদিক হত্যার ঘটনা ঘটেছে। ৪ দিন আগে সাংবাদিক রুবেলে নিঁখোজ হন। পুলিশ তাকে জীবিত উদ্ধার করতে পারেনি। এই দায় পুলিশ এড়াতে পারে না। প্রতিদিন কুষ্টিয়ায় হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটছে। এবার সাংবাদকর্মী খুনের ঘটনা ঘটলো। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে হত্যকারীদের গ্রেফতার করতে না পারলে আন্দোলনের মাধ্যমে কুষ্টিয়া শহরকে অচল করে দেয়ার ঘোষণা দেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।
নিখোঁজের চার দিন পর বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালী পৌরসভার তেবাড়িয়া এলাকায় নির্মাণাধীন গোলাম কিবরিয়া সেতুর নিচে গড়াই নদী থেকে হাসিবুরের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার হয়। তাঁর পরনের জামাকাপড় ও মানিব্যাগে থাকা পরিচয়পত্র দেখে পরিবারের লোকজন তাঁকে শনাক্ত করেন।