কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি (আবদুর রহিম) : বাঙালির শেকড়ের প্রস্ফুটিত উৎসব পহেলা বৈশাখ বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যে পর্যটন শহর কক্সবাজারে উদযাপিত হয়েছে। ১৮২৯ বঙ্গাব্দকে বিদায় ও ১৪৩০ বঙ্গাব্দকে জেলাব্যাপী ছিল নানা আয়োজন।
শুক্রবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে কক্সবাজার শহরের পাবলিক লাইব্রেরী ঐতিহ্যবাহি দৌলত ময়দানের বটতলে গানে-গানে শুরু হয় বৈশাখ উদযাপনের অনুষ্ঠান। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, কক্সবাজার শাখার আয়োজনে অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন তাদের পরিবেশনা করতে থাকে।
সকাল ৮ টায় ওখান থেকে বের করা হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। বিশ্বব্যাপী শান্তির আহবানে আয়োজিত শোভাযাত্রাটি কক্সবাজার শহরের প্রধান সড়ক পদক্ষিণ করেন। একই সময় বের করা হয় কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মঙ্গল শোভা যাত্রাও। যেখানে জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, কক্সবাজার শাখার সত্যপ্রিয় চৌধুরী দোলন, সাধারণ সম্পাদক মো. নজিবুল ইসলাম সহ বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষ অংশ নেন।
শোভাযাত্রা শেষে দৌলত ময়দানের বটতলে আবারও শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। যেখানে গান, নৃত্য, কবিতায় বরণ করে নেয়া হয় বাংলা নববর্ষ। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য কানিজ ফাতেমা আহমেদ। দুপুর পর্যন্ত চলে এ অনুষ্ঠান।
এদিকে কক্সবাজার সরকারি কলেজ, কক্সবাজার সরকারি মহিলা কলেজসহ জেলা উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিকও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
কক্সবাজারের হোটেল মোটেল ও গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল কাশেসম সিকাদার জানান, রোজার মাস এবং গরমের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় এবার পহেলা বৈশাখকে ঘিরে পর্যটক আসেনি। তাই বেশির ভাগ হোটেল-মোটেলে কক্ষ ফাঁকা পড়ে আছে।
এছাড়া টেকনাফ, উখিয়া, রামু, ঈদগাঁও, চকরিয়া, পেকুয়া, কুতুবদিয়া ও মহেশখালী উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৈশাখের নানা আয়োজন ছিল।
কক্সবাজার সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সত্যপ্রিয় চৌধুরী দোলন ও সাধারণ সম্পাদক মো. নজিবুল ইসলাম জানান, পুরনো বছরকে বিদায় আর নতুন বছরকে বরণে আমাদের দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান আয়োজন করেছি। ১৪ এপ্রিল ভোরে যন্ত্র সংগীতের মাধ্যমে নতুন বর্ষ ১৪৩০ বরণের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এছাড়াও অনুষ্ঠানে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটভুক্ত বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন নাচ, গান, আবৃত্তি, নৃত্য পরিবেশন করছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, বর্ষবরণ ঘিরে শহরের বিশেষ বিশেষ স্থানে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পোশাকধারী সদস্যর পাশাপাশি সাদা পোশাকেও পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। এছাড়াও পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশসহ র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) দায়িত্ব পালনে রয়েছে।