ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধি (কঞ্জন কান্তি চক্রবর্তী) : ঝালকাঠির রাজাপুরে পুরাতন সরকারি আয়রন ব্রীজের লোহার বীম সহ মালামাল কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। এসব মালামালের আংশিক রবিবার রাতে উপজেলা পরিষদচত্বরে ট্রলি গাড়িতে করে ফেতর দিয়েছে বলে উপজেলা প্রকৌশলী জানিয়েছেন। তবে এখনও এ মালমাল জব্দ করে সিজার লিষ্ট করেনি বলে জানিয়েছেন এলজিইডি বিভাগ। উপজেলার শুক্তাগড় ইউনিয়নের ৮ নং শুক্তাগড় এলাকায় একটি ব্রীজ নির্মানের কাজ শুরু করেন সৈয়দ এন্টার প্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিতষ্ঠান।
উপজেলা প্রশাসন বা উপজেলা প্রকৌশলীকে না জানিয়ে সেখানে থাকা পুরাতণ আয়রণ ব্রীজের বীম সহ লোহার মালামাল ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন দুইটি নসিমনে করে ঝালকাঠি নিয়ে যাচ্ছেন এমন খবর জানাজানি হয়। এলজিইডির কর্মকর্তাদের তৎপরতায় ঠিকাদারের লোকজন রাত সাড়ে ১০ টার দিকে এক গাড়ী লোহার মালামাল উপজেলা এলজিইডি বিভাগকে বুঝিয়ে দিয়ে যায়। অপর এক গাড়ী সরকারি ব্রীজের লোহার মালামাল এখন পযর্ন্ত উদ্ধার হয়নি।
ব্রীজের কাজে থাকা শ্রমিকরা জানায়, ঠিকাদারের লোকজন বিকেলে এবং রাতে দুইটি নসিমনে করে পুরাতন ব্রীজের বীম সহ লোহার মালামাল নিয়ে যায়। আমরা গাড়ীতে মালামাল তুলে দেই।
শুক্তাগড় ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সিনিয়র সহ-সভাপতি সৈকত আহমেদ সাইফুল জানান, আমাদের এলাকায় একটা পুরাতন ব্রীজ ভাংছে। গতকাল বিকেলে ব্রীজের লোহার বীম সহ মালামাল ঠিকাদার মিলন ভাইর লোকজন নিয়ে যাচ্ছে এমন খবর পেয়ে ছুটে এসে আমি তাদের বলি এটা তো পরিষদের মালামাল। তখন তারা বললো অন্য সাইডে কাজ চলে এসব মালামাল আমরা সেখানে নিয়ে যাবো। এরপরে আমি স্থানীয় ইউপি সদস্যকে ফোন দিলে সে ইউপি চেয়ারম্যান বিউটি সিকদারকে বিষয়টি জানাতে বলে। চেয়ারম্যানকে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানালে সে বলে বিষয়টি আমি দেখতেছি। এর কিছু ক্ষনের মধ্যেই ঠিকাদারের লোকের কাছে ফোন আসে এবং তারা বলে আমরা চেয়ারম্যানের লোক) মুরাদের সাথে কথা বলতেছি। এরপর মুরাদকে ফোন দিলে সে বলে আমাদের সাথে কথা হইছে এ মালামাল অন্য সাইডে নিয়ে যাবে পরে আবার পরিষদে জমা দিয়ে যাবে।
এ বিষয়ে সৈয়দ এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটার সৈয়দ মিলন জানান, আমার লোকজন দরপত্রে অর্ন্তভূক্ত থাকা ব্রীজের কিছু মালামাল নিয়ে ছিলো যা পরবর্তীতে এলজিইডির
কর্তৃপক্ষের নির্দেশে গতকাল রাতে তাদের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
রাজাপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান মনির বলেন, আয়রন ব্রীজের
মালামাল আমাদের উপজেলা পরিষদের সম্পত্তি। ব্রীজের মালামাল উপজেলা প্রকৌশল অফিস আমাদের বুঝিয়ে দিবেন। এটা তাদের দায়িত্ব্। উপজেলা পরিষদের মালামাল অনুমতি ছাড়া স্থাস্তান্তর অন্যায়।
রাজাপুর উপজেলা প্রকৌশলী অভিজিৎ মজুমদার জানান, আমরা জানতে পেরেছি ঠিকাদার আমাদের না জানিয়ে ব্রীজের মালামাল নিয়ে গিয়েছে। পরবর্তীতে আমরা ঠিকাদারের সাথে যোগাযোগ করলে সে কিছু মালামাল আমাদের বুঝিয়ে দিয়ে গেছে। কি মালামাল মিসিং আছে তা সিজার লিষ্ট না করলে বুঝা যাবেনা। তবে সম্পুর্ন মালামাল আমাদের বুঝিয়ে না দিলে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।