অনলাইন ডেস্ক : ২০১২ সালের পর থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ইসলামী ছাত্রশিবির নবীনবরণের আয়োজন করতে পারেনি। তবে এক যুগ পর, প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য নবীনবরণ ও ক্যারিয়ার গাইডলাইন প্রোগ্রামের আয়োজন করেছে সংগঠনটি। এই অনুষ্ঠানে প্রায় দেড় হাজার নবীন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। ১৬ নভেম্বর শনিবার সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেট সংলগ্ন এজে কনভেনশন হলে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
শাখার শিক্ষা সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠান শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মোহাম্মদ ইব্রাহিম উদ্বোধনী বক্তব্য দেন।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি নাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় প্লানিং ও ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক ডা. ওসামা রাইয়ান।
প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মো. বরকত আলী।
এছাড়া বিশেষ আলোচক হিসেবে ছিলেন, ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ হাসমত আলী। শাখার অন্যান্য নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন এই অনুষ্ঠানে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা কাউকে কখনো জোর করে ছাত্রশিবির করতে বলি না। আমরা সৎ, দক্ষ এবং দেশপ্রেমিক নাগরিক হতে শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানাই। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন আমাদের শিখিয়ে গেছে ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করতে হবে, সাম্রাজ্যবাদের বিরোধিতা করতে হবে, দেশের স্বার্বভৌমত্ব কে রক্ষা করতে হবে। গত ১৬ বছর শিবির কে উপস্থাপনের সুযোগ দেওয়া হয়নি। আমাদের নামে দিয়েছে অজস্র অপবাদ। তাই অনেকে আমাদের গালি দেয়। আমরা কারো গালি কে বাধা দিবো না। স্বাধীন দেশে কারও কোন কাজে বাধা দেওয়া উচিত না। তবে আমরা অনুরোধ করছি, আমাদের কাজেও আপনারা বাঁধা দিবেন না। আমাদেরকে আদর্শিক চর্চা করতে দিন, তাহলে দ্রুতই বুঝতে পারবেন আমাদের বিরুদ্ধে সমালোচনাগুলো কতটা সত্য এবং কতটা অপবাদ।
চবির ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. বরকত আলী বলেন, আমরা মানুষ হলেও আমাদের মধ্যে পশুত্বের ভাব রয়েছে। এই পশুত্ব দূর করতে আল্লাহ তায়ালা একটা মহাগ্রন্থ আল কোরআন নাযিল করেছেন। একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদের ৫টি বিষয় খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। এগুলো হলো, চরিত্র, সৃজনশীলতা, যোগাযোগ, সক্ষমতা ও সাহস।
ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্লানিং ও ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক ডা. ওসামা রাইয়ান বলেন, আমরা জানি সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ। তাই বন্ধু নির্বাচনে সতর্ক হতে হবে। বন্ধুর কিছু মৌলিক বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে। বন্ধুকে জ্ঞানী, বিচক্ষণ ও নৈতিক হতে হবে।
ছাত্রশিবিরের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি নাহিদুল ইসলাম বলেন, যাদের আত্মত্যাগে আমরা বিপ্লবের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি, আজ তাদের স্মরণ করছি। এমন আয়োজনের ধারাবাহিকতা আমরা বজায় রাখবো। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে আগেও সচেতন ছিলাম। আগামীতে ও সাধারণ ছাত্রদের কল্যাণে কাজ করে যাব।