আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ব্রাজিলের হেক্সা মিশনে এবারও দলটির সবচেয়ে বড় আশা হয়েই কাতারে পা রেখেছেন নেইমার। সেই পিএসজি তারকার জীবনেই বড় একটা অংশ দখল করে আছেন এক বাংলাদেশি। ভৈরবের রবিন মিয়া সামলাচ্ছেন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নেইমারের প্রচারের দায়িত্ব।
নেইমারের সঙ্গে রবিনের পরিচয়টা হয়েছিল তার এক বন্ধুর মাধ্যমে। রবিনের ভাষায়, ‘ওর সঙ্গে আমার পরিচয় এক কাছের বন্ধু জোয়ান সেলসো, নেইমারেরও কাছের বন্ধু সে। তার মাধ্যমেই নেইমারের সঙ্গে পরিচয়।’
পিএসজি তারকার প্রচারের দায়িত্বটা কীভাবে সামলান রবিন? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, ‘আন্তর্জাতিকভাবে অনেকগুলো দেশে নেইমারের প্রচারের কাজটা করি আমি আর জোয়ান মিলে। আন্তর্জাতিকভাবে তার যে ফেসভ্যালু আছে, সেটা আমরা বহুজাতিক কোম্পানির কাছে নিয়ে যাই, তারাও আমাদের কাছে আসে… আমরা এই কাজগুলো করি।’
ব্রাজিলের প্রাণভোমরার সঙ্গে তার সম্পর্কটা নেহায়েত পেশাদারই নয়। রবিন জানালেন, তার পরিবারের সঙ্গেও সম্পর্কটা তার বেশ ভালো। তাই তার কাছে থাকে নেইমারের পরিবারের ভেতরের খবরও। বিশ্বকাপে কারা কারা আসছেন, জানেন সেটাও। রবিনের কথা, ‘ওর পরিবার থেকে ওর বাবা, যিনি তার সবকিছু দেখাশোনা করেন, তিনি আসবেন। তার বোন রাফায়েলা, তার মা আসবেন। তার কাছের বন্ধু আর আত্মীয়স্বজনও আসবেন।’
নেইমারের পরিবারের কাছের মানুষ হওয়ায় বিশ্বকাপে তাদের আতিথ্য দেওয়ার দায়িত্বটাও বর্তেছে রবিনের কাঁধেই। তিনি বলেন, ‘তাদের পরিবারের খুব কাছের মানুষ আমি। নেইমারের বোন, তার বাবা আমাকে খুব পছন্দ করেন। তো সেই জায়গা থেকে আমি যতদূর সম্ভব তাদের দেখভাল করার চেষ্টা করব। তাদের ফ্যামিলির লজিস্টিকসের দিকটা আমি দেখছি।’
নেইমারের বিশ্বকাপ মিশনের অংশ তিনি, এ নিয়ে তার অনুভূতিটা কেমন? এমন প্রশ্নের উত্তরে রবিন বলেন, ‘আপনারা যারা নেইমারকে চেনেন, তারা তাকে খেলোয়াড় হিসেবে চেনেন। আর আমি তাকে চিনি বন্ধু হিসেবে। আমার একজন বন্ধু খেলছে বিশ্বকাপে, আমি তেমনভাবেই দেখছি বিষয়টাকে।’
নেইমারের প্রচারের দায়িত্বটা বাংলাদেশি একজনের কাঁধে। এই বঙ্গ মুল্লুকে যে তার এত বেশি ভক্ত-সমর্থক, সেটাও তার অজানা নয়, জানালেন রবিন। বললেন, ‘তার সঙ্গে প্রথম যখন দেখা হয়, তখন বলেছিলাম, বাংলাদেশে তার এত ভক্ত-সমর্থকের উপস্থিতির কথা। তার জবাবে নেইমার বলেছিল, আমি জানি বাংলাদেশে আমার এত ভক্ত-সমর্থক। রেড সোশ্যাল (সোশ্যাল মিডিয়া প্রোমোশন সার্ভিস) দেখলে দেখা যায়, ব্রাজিলের পর নেইমারের নামে সার্চ সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশে। নেইমার খুব জানে বাংলাদেশ সম্পর্কে, সে খুব পছন্দও করে।’