অনলাইন ডেস্ক : আসামী পক্ষের আইনজীবীরা অনেক চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু ধর্ষণকারী মাদ্রাসার অধ্যক্ষ শুক্রবার মিথ্যা কথা বলেননি! তিনি বিজ্ঞ আদালতকে সত্যি কথা বলেছেন। এতো দ্রুত সময়ে মামলার রহস্য উদঘাটন হওয়ায় ধন্যবাদ জানাই আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আল মামুন কবিরকে।
এর আগে ঢাকার আশুলিয়ায় মাদ্রাসার ১১ বছরের শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ তৌহিদ বিন আজহারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
গত বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারী) রাতে মিরপুরের কাফরুল থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করে উপ(পরিদর্শক (এসআই) আল মামুন কবিরের নেতৃত্বে আশুলিয়া থানা পুলিশের একটি দল। পরে শুক্রবার সকালে আসামিকে আদালতে প্রেরণ করা হলে বিজ্ঞ আদালতে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।
ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, আশুলিয়ার খেজুরবাগান চাঁনগাও এলাকার হুরে জান্নাত মহিলা মাদ্রাসা ও নূরে মদিনা মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্রী ছিলেন ভুক্তভোগী শিশু শিক্ষার্থী। গত কয়েক দিন আগে চা বানানোর কথা বলে ডেকে নিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ। এছাড়া বিষয়টি অন্য কাউকে না জানাতে বিভিন্ন ভয় ভীতি দেখান। তবে ভুক্তভোগী ছাত্রী মাদ্রাসা থেকে বের হতে পরছিলো না। পরে তার এক সহপাঠীর মাধ্যমে চিরকুট লিখে পরিবারের কাছে পাঠালে বিষয়টি ফাঁস হয়।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আল মামুন কবির জানান, ঘটনার জানাজানি হলে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ মিরপুরে গিয়ে আত্মগোপন করে। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়। এসময় আসামি বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। পরে শুনানি শেষে আদালত আসামি তৌহিদ বিন আজহারকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে ভুক্তভোগী শিশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়েছে।