নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি(সোনিয়া আক্তার) :
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার আলোচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জা আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। একই সাথে ভবিষ্যতে কোন ধরনের নির্বাচনে অংশ নেবেন না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার (৩১ মার্চ) দুপুর পৌনে ১২ টায় ফেসবুক লাইভে এসে তিনি এ ঘোষণা দেন। তিনি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন।
লাইভে কাদের মির্জা বলেন, ‘আমি সব অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে কথা বলে এখন সবার কাছে খারাপ হয়ে গেছি। যে দলে সম্মান নাই সেখানে আমি থাকবো না। আমি বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সদস্য হয়েছি। সেখানে থেকেই কাজ করবো।’
বিদায় বেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনি একসাথে না পারলেও আস্তে আস্তে দলের দুর্নীতিবাজদের লাগাম টেনে ধরুন। যারা বেশি অনিয়মকারী তাদেরকে দল থেকে বের করে দিন।’
কাদের মির্জা আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে বলবো, আপনি মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন কিন্তু আপনার প্রশাসন মাদককে সহযোগিতা করছে। আর এখনি ঘোষণা দিন যে, সংসদ সদস্যসহ যে কোনো প্রতিনিধি বা পদে আসতে হলে মাদক ও নারী সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারবে না। ডোপ টেস্ট করে চাকরিতে যোগদান করান।’
ঢাকাতে সব দল একদল হয়ে গেছে, দাবি করে কাদের মির্জা বলেন, ‘দিনের বেলা আলাদা রাজনীতি করলেও রাতের বেলা আ’লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি মিলে হোটেলে এক হয়ে যায়। এরা ‘জাতীয় অপকর্ম পার্টি’ গঠন করেছে।
ভাই ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘তিনি পদ-পদবীর জন্য অপশক্তিদের কাছে মাথা নত করেছেন। যেদিন আমার ছোটভাই (দেলোয়ার) ফাঁসি দিয়ে মারা গেছে সেদিনই তার সাথে (ওবায়দুল কাদের) সম্পর্ক মানসিকভাবে দূরে সরে গেছে।’
ওবায়দুল কাদেরের সাবেক এপিএস বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি এটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আমিন উদ্দিন মানিকের সমালোচনা করে তিনি বলেছেন, ‘সে চাকরিপ্রার্থী অনেক নারীর সাথে অনিয়ম করেছে, অবশেষে বিয়েও করেছে অনিয়ম করে।’
পরে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে আবদুল কাদের মির্জা লিখেছেন, আমি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করলাম। ভবিষ্যতে কোনো রকম জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো না। ভবিষ্যতে আমি কোনো রকম কোনো দলীয় পদ-পদবির দায়িত্ব নেব না।